বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। অনেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের পেশায় আসতে চান কিন্তু সঠিক ধারণা ও জ্ঞান না থাকার কারণে আসতে পারেন না। তাই যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শুরু করবেন ভাবছেন তারা শুরু করার আগে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নিয়ে কাজ করায় উচিত। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা ফিরে এসেছি এর কাজ সমূহ থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ এবং ফিনিশিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা বাছাই করে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
Table of Contents
- বাছাইকৃত সহজ ও সেরা ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫ টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ:
- ১) ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনিং | Freelance Graphic designing
- ২) ফ্রিল্যান্স ভিডিও এডিটিং জব | Video editing
- ৩) ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট ডিজাইন | Website Design
- ৪) ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট | Freelance Web Development
- ৫) অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট | Application development
- ৬) কন্টেন্ট রাইটিং | Content Writing
- ৭) কপিরাইটিং | Copy Writing
- ৮) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন | Search engine optimization
- ৯) ডাটা এন্ট্রি | Data এন্ট্রি
- ১০) ডিজিটাল মার্কেটিং | Digital মারকেতিং
- ১১) ট্রান্সক্রাইবিং | Transcribing
- ১২) ট্রান্সলেটিং | Translating
- ১৩) ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট | Virtual assistant
- ১৪) ডাটা এনালাইসিস | Data Analysis
- ১৫) ইউ আই/ইউএক্স ডিজাইনার | UI/UX Designer
- বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট সমূহ | Bangladeshi Freelancing Sites
বাছাইকৃত সহজ ও সেরা ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫ টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ:
- গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphic design)
- ভিডিও এডিটিং (Video editing)
- ওয়েবসাইট ডিজাইন (Website design)
- ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট (Website development)
- অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Application development)
- কনটেন্ট রাইটিং (Content writing)
- কপিরাইটিং (Copy writing)
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search engine optimization -SEO)
- ডাটা এন্ট্রি (Data entry)
- ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing)
- ট্রান্সক্রাইবিং (Transcribing)
- ট্রান্সলেটিং (Translating)
- ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট (Virtual assistant)
- ডাটা এনালাইসিস (Data analysis)
- ইউএক্স / ইউ আই ডিজাইনার (UI /UX Designer)
১) ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনিং | Freelance Graphic designing
গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে ইমেজ সেভ ও কালারের কম্বিনেশন এর মাধ্যমে কোন মেসেজ প্রধান করা। আবার গ্রাফিক্স ডিজাইনকে কমিউনিকেশন ডিজাইনও বলা যেতে পারে। আরো সহজ করে বলতে গেলে গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো চিন্তা শক্তি ধারনা দক্ষতা ব্যবহার করে কোন ছবি বা টেক্সট এর মাধ্যমে এমন একটা ছবি তৈরি করা যেটাতে আপনার চিন্তা শক্তি বা ধারণা শক্তিকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা যায় সেটা গ্রাফিক্স ডিজাইন। এবং গ্রাফিক ডিজাইনাররা গ্রাহক এবং ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট চাহিদা মেটাতে টাইপোগ্রাফি এবং ছবি ব্যবহার করে ইন্টারেক্টিভ ডিজাইন তৈরির মাধ্যমে নির্দিষ্ট বার্তা প্রেরণ করে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনে অন্তর্ভুক্ত ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ হলো:
- লোগো ডিজাইন (Logo design)
- ফন্ট ডিজাইন (Font design)
- টাইপোগ্রাফি (Typography)
- বিজনেস কার্ড ডিজাইন (Business card design)
- স্টেশনারি ডিজাইন (Stationary design)
- ওয়েবসাইট ডিজাইন (Website design)
- অ্যাপ ডিজাইন (Application design /App design)
- আইকন ডিজাইন (Icon design)
- প্যাটার্ন ডিজাইন (Pattern design)
- কার্টুন এন্ড কমিক ডিজাইন (Cartoon and comic design)
- সোশাল মিডিয়া ডিজাইন (Social media design)
- ওয়েব ব্যানার ডিজাইন (Web banner design)
- গেম আর্ট (Game art)
- ইমেজ এডিটিং (Image editing)
- প্রেজেন্টেশন ডিজাইন (Presentation design)
- ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন (Info-graphic design)
- ভেক্টর ট্রেসিং (Vector tracing)
- রিজিউমি ডিজাইন (Resume design)
- ফ্লায়ার ডিজাইন (Flyer design)
- পোস্টার ডিজাইন (Poster design)
- ব্রোশিওয়র ডিজাইন (Brochure design)
- পোস্টার ডিজাইন (Poster design)
- ক্যাটালগ ডিজাইন (Catalog design)
- মেনু ডিজাইন (Menu design)
- ইনভাইটেশন ডিজাইন (Invitation design)
- প্যাকেজিং এবং লেবেল ডিজাইন (Packaging and label design)
- বুক ডিজাইন (Book design)
- ফ্যাশন ডিজাইন (Fashion design)
- টি-শার্ট ডিজাইন ( T shirt Design)
- ফটোশপ ডিজাইন (Photoshop design)
- মগ ডিজাইন (Mug design)
- জুয়েলারি ডিজাইন (Jewellery design), ইত্যাদি।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত কিছু সফটওয়্যার সমূহ:
১) এডোবি ইলাস্ট্রেটর | Adobe Illustrator
এডোবি ইলাস্ট্রেটর হচ্ছে একটি ভেক্টর গ্রাফিক্স সম্পাদনাকারী সফটওয়্যার। যা শুধু ইলাস্ট্রেটর নামেই বেশি পরিচিত। এই সফটওয়্যারটি তৈরি ও বাজারজাত করেছে অ্যাডোবি সিস্টেমস। এডোবির সবথেকে জনপ্রিয় সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে এটি অনতম। এর মাধ্যমে সকল গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো, ব্যানার তৈরি করা যায়। এর সর্ব শেষ সংস্করণ ইলাস্ট্রেটর সিসি যা ২০২২ সালে বের হয়েছে।
২) এডোবি ফটোশপ | Adobe Photoshop
এডোবি ফটোশপ একটি গ্রাফিক্স সম্পাদনাকারী সফটওয়্যার। সাধারণভাবে সফটওয়্যারটিকে শুধুমাত্র ফটোশপ নামেই ডাকা হয়। এই সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে এডোবি সিস্টেমস। এডোবি সবথেকে জনপ্রিয় সফটওয়্যার এটি। বর্তমানে এই সফটওয়্যারটি ম্যাক ওএস এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য পাওয়া যায়।
৩) এডোবি ইন ডিজাইন | Adobe In design
এডোবি ইনডিজাইন বর্তমানে একটি ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশিং সফটওয়্যার৷ প্রকাশনা জগতে আপনি যদি টেক্সট এবং গ্রাফিক্স নিয়ে এক সাথে কাজ করতে চান, তাহলে এডোবি ইন ডিজাইন সবচেয়ে পারফেক্ট প্লাটফর্ম। বাংলাদেশে শুধুমাত্র টপ লেভেলের প্রকাশনী গুলো তাদের বই/ম্যাগাজিন/পত্রিকা পাবলিশ করতে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন। এডোবি ইন ডিজাইন এমন একটি সফটওয়্যার যাতে রয়েছে মাইক্রোসফট্ ওয়ার্ড এবং এডোবি ফটোশপের এক অসাধারণ সমন্বয়।
৪) কোরেলড্র | CorelDraw
কোরেলড্র (CorelDraw) একটি ভেকটর ভিত্তিক গ্রাফিক্স সফটওয়্যার। ইলাস্ট্রেটর এর বিকল্প হিসাবে আইবিএম পিসি তে ব্যবহার্য । বর্তমানে ম্যাক এর জন্য ও পাওয়া যায়। প্রিন্টিং মিডিয়ায় ব্যপক ভাবে ব্যবহার হয়। কোন কিছু ছাপানোর ক্ষেত্রে ইলাস্ট্রেটর/কোরেল ফাইনাল আউটপুট দেবার জন্য ব্যবহার হয়। ফটোশপ বা ইমেজ সম্পাদনা গ্রাফিক্স সফটওয়্যার এ শুধু ছবির বা গ্রাফিক্সের কারুকার্য করা হয়, টেক্সট ও ফাইনাল প্রিন্ট বা ফিল্মে প্রিন্ট নেয়ার জন্য কোরেলড্র ব্যবহার করতে হয়।
এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য আরো কিছু সফটওয়্যার রয়েছে –
- ইঙ্কস্কেপ ( Inkscap)
- এডোবি লাইটরুম (Adobe Lightroom)
তবে আপনারা যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এডোবি ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যার ব্যবহার করাই উত্তম। এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? 2024- এ কিভাবে শুরু করবেন?
২) ফ্রিল্যান্স ভিডিও এডিটিং জব | Video editing
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে ফ্রিল্যান্স ভিডিও এডিটিং জব একটি।
বর্তমানে ওপেন প্ল্যাটফর্ম এর কারণে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর কাজ সমূহের উঠে এসেছে ফ্রিল্যান্সিং ভিডিও এডিটিং। বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং করে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। ভিডিও কাট, ট্রিমিং করে ক্লিপগুলোকে সিকোয়েন্স অনুযায়ী সাজানোসহ একটি ক্লিপগুলোকে পরিপূর্ণ একটি ভিডিওতে রূপান্তর করাকে মূলত ভিডিও এডিটিং বলে। এছাড়াও অ্যানিমেশন, মোশন গ্রাফিক্স, ভিসুয়াল ইফেক্ট ও ভিডিও এডিটিং এর মধ্য অন্তর্ভুক্ত। মূলত ভিডিওর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মিউজিক, সাউন্ড ইফেক্ট যোগ করে ভিডিওটাকে পরিপূর্ণ করায় একজন ভিডিও এডিটিং এর কাজ।
ভিডিও এডিটিং এর অন্তর্ভুক্ত ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ:
- ভিডিও এডস্ & কমার্শিয়ালস (Video Ads & Commercials)
- মিউজিক ভিডিওস (Music Videos)
- ভিডিও টেম্পলেট এডিটিং (Video template editing)
- সাবটাইটেল এন্ড ক্যাপশন (Subtitle and caption)
- ইন্ট্রো এন্ড আউটট্রো ভিডিওস (Intro and outro videos)
- এনিমেটেড এক্সপ্লেইনারস (Animated Explainers)
- লোগো এনিমেশন (Logo Animation)
- এনিমেটেড গিফস (Animated GIFs)
- এনিমেশন ফর স্ট্রিমার্স (Animation for Streamers)
- এনিমেশন ফর কিডস (Animation for Kids)
- স্লাইডশো ভিডিওস (Slideshow Videos)
- ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট (Visual effect)
- সোসাল মিডিয়া ভিডিওস (Social media Videos)
- স্পোকসপার্সন ভিডিওস (Spokesperson Videos)
- মেডিটেশন ভিডিওস (Meditation Videos)
- ক্যারেক্টর এনিমেশন (Character animation)
- কর্পোরেট ভিডিওস (Corporate Videos)
- রিয়াল স্টেট প্রোমোস (Real Estate Promos)
ভিডিও এডিটিং এ ব্যবহৃত সফটওয়ার (কম্পিউটারের জন্য):
- এডোবি আফটার ইফেক্টস (Adobe after effects)
- এডোবি প্রিমিয়ার প্রো (Adobe premiere pro)
- ভি এফ এক্স (VFX)
- লাইট ওয়ার্কস ভিডিও এডিটর (Lightworks video editor)
- হিট ফিল্ম এক্সপ্রেস (Hit film express)
৩) ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট ডিজাইন | Website Design
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট ডিজাইন | Website Design হলো আরেকটি উপায়।
বর্তমান আধুনিক যুগে অনলাইনে প্রতিটি কোম্পানির ওই একটি করে ওয়েবসাইট থাকে। তাই ওয়েবসাইট ডিজাইনের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। যদিও বর্তমানে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর জন্য আলাদা করে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া প্রবণতা কম, কারাণ ওয়েব ডেভেলপ রাই ওয়েব ডিজাইনের কাজটাও করে দিচ্ছেন। তবে বড় বড় কোম্পানিগুলো এখনও স্পেশালিস্ট ডিজাইনারদের হাইয়া করে থাকেন।
৪) ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট | Freelance Web Development
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট হলো আরেকটি উপায়।
বর্তমান আধুনিক যুগে অফলাইনের পাশাপাশি সব দেশেও অনলাইনে কেনাকাটা থেকে শুরু করে বাংলা ব্লক ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন কোর্স ও সার্ভিস দেওয়ার জন্য ওয়েবসাইট প্রয়োজন হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দেশেও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজসমূহ থেকে সেরা এবং সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজের মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অন্যতম। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর দুটি ধাপ রয়েছে এগুলো হলো –
- ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ব্যাক এন্ড ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে বেসিক কিছু ধারণা থাকতে হবে যেমন :
- HTML
- CSS
- JavaScript
- JQuery
- Bootstrap
- Python or Ruby
৫) অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট | Application development
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট হলো আরেকটি উপায়।
মোবাইল বা কম্পিউটারে আমরা প্রতিনিয়ত কিছু অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকি। এই সকল অ্যাপস তৈরি করা থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণে যাবতীয় সকল কাজ অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত।
বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে এপ্স এর প্রাধান্য পাওয়ার এপ্লিকেশন ডেভলপারদের চাহিদার অনেক বেশি রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করতে হয় যেমন-
- ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Desktop application development)
- ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Web application development)
- মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Mobile application development)
- অ্যাপ্লিকেশন মেইন্টেনেন্স এবং সাপোর্ট (Application maintenance and support)
- গুগল ডকস ( Google docs)
- গ্রামারলি (Grammarly)
- হেমিংওয়ে অ্যাপ (Hemingway App)
- প্রো-রাইটিং এড (Pro writing app)
- ওয়ার্ড টিউন (Word tune)
- রাইটার (Writer)
- কপিমেটিক (Copymatic)
৬) কন্টেন্ট রাইটিং | Content Writing
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে কন্টেন্ট রাইটিং হলো আরেকটি উপায়।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলোর মধ্য এখন সহজ ও অন্যতম কন্টেন রাইটিং সমূহ। কন্টেন রাইটিং মূলত বিস্তারিত ধারণার দেওয়াকে বুঝায়। কন্টেন রাইটিং করার আগে বেশ কিছু দেখ বিবেচনা রাখতে হয় যেমন -কোন বিষয় ট্রেন্ডে আছে, পারটকরা কোন ধরনের টপিক সম্পর্কে জানতে চাইছেন ইত্যাদ বিষয় মাথায় রেখে কনটেন্ট লিখতে হয়। এবং অনলাইনে কন্ঠের লেখার ক্ষেত্রে কীওয়ার্ড এসইও(SCO) খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার সমূহ :
- গুগল ডকস ( Google docs)
- গ্রামারলি (Grammarly)
- হেমিংওয়ে অ্যাপ (Hemingway App)
- প্রো-রাইটিং এড (Pro writing app)
- ওয়ার্ড টিউন (Word tune)
- রাইটার (Writer)
- কপিমেটিক (Copymatic)
এছাড়াও 2024 – এ কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় ও সেরা কিছু টিপস বাংলাতে
৭) কপিরাইটিং | Copy Writing
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে কপিরাইটিং হলো আরেকটি উপায়।
বর্তমানে কপিরাইটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তরভুক্ত। যখন একজন ব্যক্তি একটা আসল কাজ তৈরি করেন একটি বাস্তব মাধ্যম স্থির করেন তখন এটি সক্রিয়ভাবে কাজের কপিরাইট বলা হয়। একজন কপিরাইট যেসব কাজগুলো করে থাকেন –
- বিজ্ঞাপন লেখা
- স্লোগান ও ট্যাগলাইন লেখা
- ইমেইল ক্যাম্পেইনের জন্য ইমেইল লেখা
- বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট লেখা
- প্রেস বিজ্ঞপ্তি লেখা ইত্যাদি
৮) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন | Search engine optimization
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো আরেকটি উপায়।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা সংক্ষেপে এসইওহলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব পৃষ্ঠাকে অনুসন্ধান বা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের অনুসন্ধান ফলাফলের তালিকা প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা। সার্চ ইঞ্জিন মূলত অপটিমাইজেশন দুই ধরনের:
- অন পেজ অপটিমাইজেশন
- অফ পেজ অপটিমাইজেশন
৯) ডাটা এন্ট্রি | Data এন্ট্রি
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে ডাটা এন্ট্রি হলো আরেকটি উপায়।
ডাটা এন্ট্রি হল এমন একটি কাজ যেখানে সাধারণত ইলেকট্রনিক ডাটা যোগ যাচাই ও সম্পাদন করা। এবং ডাটাবেজের ডাটা যোগ করা, বিভিন্ন পরিসংখ্যান যোগ করা থেকে শুরু করে নোট বার রেকর্ডিং থেকে ডাটা প্রতিফলন করা ও ডাটা এন্ট্রির মধ্যে পড়ে। যারা ডাটা এন্ট্রির কাজ করে থাকেন তাদেরকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বলা হয়। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হতে হলে কয়েকটি কাজের দক্ষতা থাকতে হবে যেমন:
- ভাষা দক্ষতা
- ভালো টাইপিং স্পিড
- ডাটাবেজ এবং সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারনা
- তথ্য সংগ্রহের দক্ষতা
- বানান সম্পর্কে ভালো জ্ঞান
- মাইক্রোসফট অফিস (MS word, MS PowerPoint, MS excel etc)
১০) ডিজিটাল মার্কেটিং | Digital মারকেতিং
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং হলো আরেকটি উপায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং মানে অনলাইনে পূর্ণ বা সার্ভিস এর বিজ্ঞাপন প্রচার করাকে বুঝায়। এখন এটি হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, সাত ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মাধ্যমে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে এবং ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। আধুনিক বিশ্বের নিজেকেও নিজের ব্যবসার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং সেকার কোন বিকল্প নেই।
১১) ট্রান্সক্রাইবিং | Transcribing
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে ট্রান্সক্রাইবিং হলো আরেকটি উপায়।
ট্রান্সক্রাইবিং হলো মূলত অডিও বা ভিডিও থেকে কথাগুলো লেখায় রূপান্তর করা। অর্থাৎ অডিও এবং ভিডিও থেকে
কথাগুলো শুনে যে লেখায় পরিণত করা হয় তাকেই ট্রান্স ড্রাইভিং বলে। সাবস্ক্রাইবিং করতে সাধারণত কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয় সেগুলো হলো
- নির্ভুল বানান
- গভীর মনোযোগ
- ভাষা দক্ষতা
- দ্রুত টাইপিং স্কিল
- ব্যাকরণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা ইত্যাদি।
১২) ট্রান্সলেটিং | Translating
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে ট্রান্সলেটিং হলো আরেকটি উপায়
ট্রান্সলেটিং এর অর্থ হল অনুবাদ করা। অর্থাৎ কোন ভাষাকে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করাকে ট্রান্সলেটিং বলে। বর্তমানে বেশ কিছু ভাষা ট্রান্সলেশন এই চাহিদা রয়েছে এগুলো হলো :
- স্প্যানিশ
- চাইনিজ
- এরাবিক
- জাপানিজ
- রাশিয়ান
- জার্মান ইত্যাদি।
১৩) ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট | Virtual assistant
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হলো আরেকটি উপায়
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হচ্ছে একটি অনলাইন যেখানে আপনি ঘরে বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিকে সাহায্য করতে পারবেন। এই সহযোগিতা করাকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আপনি একজন উদ্যোক্তার বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে তাকে উপকৃত করতে পারেন এবং যা করার জন্য আপনাকে পারিশ্রমিক প্রদান করা হবে।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনার যেসব কাজ করতে হবে :
- এক্সেল এর কাজ
- ডাটা এন্ট্রি
- গুরুত্বপূর্ণ সব ফাইল ম্যানেজ করা
- মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ব্যানার পোস্টার বানানো এবং তা পোস্ট করা।
- মেইল, নিউজলেটার ম্যানেজ করা
- কপিরাইটিং
- এসইও ( SEO) ইত্যাদি।
১৪) ডাটা এনালাইসিস | Data Analysis
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে ডাটা এনালাইসিস হলো আরেকটি উপায়
সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে কোন ডাটা কে পরিবর্তন ও পরিষ্কার রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে ডাটা এনালাইসিস বলে। আপনি যদি আপনার কম্পিটিটারকে পেছনে ফেলতে চান তাহলে পুরো মার্কেট রিচার্জ করে প্রয়োজনীয় ডাটা সংগ্রহ করতে হবে। সে ডাটা থেকে আপনার কম্পিউটার কিভাবে ভালো সেল খুঁজে তা খুজে বের করতে হবে। পরবর্তীতে সে ডাটার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা নতুন পদ্ধতি আপনার বিজনেসে প্রয়োগ করতে হবে। এইসব কাজ করে দেবে অটোমেশন অথবা কোন ডাটা এনালিস্ট। তাই বর্তমানে ডাটা এনালিস্ট এর চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে।
১৫) ইউ আই/ইউএক্স ডিজাইনার | UI/UX Designer
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় এর মধ্যে ইউ আই/ইউএক্স ডিজাইনার হলো আরেকটি উপায়
সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যেও সর্বশেষ রয়েছে ইউ আই/ইউএক্স ডিজাইনার।ইউ আই/ইউএক্স ডিজাইনার হতে হলে কাস্টমারের সুবিধা অসুবিধা এনালাইসিস করার ক্ষমতা থাকতে হবে, রিসার্চ করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে, ডিজাইন জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কিসের প্রয়োজন
১. দক্ষতা:
২. ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ:
৩. ইন্টারনেট কানেকশন:
৪. একটি স্মার্টফোন:
৫. ইংরেজিতে নূন্যতম দক্ষতা:
সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট এর তালিকা | Freelancing Websites List
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট তালিকা:
- ফাইবার (Fiverr)
- পিপল পার আওয়ার (People Per Hour)
- ক্রিয়েটিভ মার্কেট (Creative Market)
- আপওয়ার্ক (Upwork
- ফ্লেক্সজবস (Flexjobs)
- গুরু (Guru)
- নাইনটিনাইন ডিজাইনস (99designs)
- ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer.com)
- ক্রিয়েটিভ মার্কেট (Creative Market)
আরো জানতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবো-শিখবো? সফল ফ্রিল্যান্সার কত টাকা আয় করে এটি দেখতে পারেন।
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট সমূহ | Bangladeshi Freelancing Sites
- বিল্যান্সার ডট কম
- ডিল্যান্সার ডট কম
- সচ্ছল ডট কম
- কাজখুঁজি ডট কম
শেষ মন্তব্য
আজকের পোস্টে ১৫ টি ফিনান্সিংয়ে কাজসমূহ এবং ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমান যুগে প্রায় সব অনলাইনের দিকে চালিত হচ্ছে তাই অনলাইন সেবা দলের চাহিদা ও বেড়েই চলছে। তার দক্ষতা না থাকলেও অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করার মাধ্যমে জ্ঞান বৃদ্ধি করে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
১৫ টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সংক্রান্ত আরো জানতে চাইলে নিচের লিখিত ভিডিওটি দেখতে পারেন।
১৫ টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এর সাধারণ কিছু জিজ্ঞাসা তা প্রশ্ন।
FAQ’s
১. বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নামক এই দুইটি খাতে বেশি কাজ পাওয়া যাচ্ছে।
২. বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন সেক্টর কোনটি?
বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং লেখালেখি সেক্টর-গুলি বেশি জনপ্রিয়।
৩. নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি?
আপওয়ার্ক (Upwork)
বিল্যান্সার (Belancer)
নাইনটি নাইন ডিজাইনস (99designs)
ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer.com)
পিপল পার আওয়ার (People Per Hour)
গুরু ডটকম (Guru.com – Find and Hire Expert Freelancers )
ফাইভার (Fiverr
৪. ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ফ্রিল্যান্সিং এ আয় এর দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।